বুধবার, ২২ মে ২০২৪

ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠল কিয়েভ

বিস্ফোরণের পর কিয়েভে বিভিন্ন ভবনের উপর থেকে ধোয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১১:২১

আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। বিমান হামলার সাইরেন বেজে যাওয়ার পর শহরটিতে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

আজ সোমবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অফিসের প্রধান কর্মকর্তা আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেছেন, ‘তথাকথিত কামিকাজে ড্রোন’ থেকে হামলাগুলো চালানো হয়েছে।

এদিকে কিয়েভের মেয়র ভাইটালি ক্লিচকো বলেছেন, হামলায় শহরটির কেন্দ্রস্থল শেভচেঙ্কিভস্কি এলাকার আবাসিক ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বিমান হামলার আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে আহ্বান করা হচ্ছে।

যদিও এই সপ্তাহের শুরুর দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে আর বড় কোনো হামলার ইচ্ছা নেই। এরমধ্যে এমন খবর পাওয়া গেল।

সপ্তাহখানেক আগেও একবার মুহুর্মুহূ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ইউক্রেন। সেসময় রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ ইউক্রেনিয়ান নিহত হন বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। যুদ্ধ চলাকালীন প্রথমবারের মতো কিয়েভের কেন্দ্রস্থলকে লক্ষ্য করে সরাসরি এ হামলা চালানো হয়েছিল।

এ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী কের্চ সেতুতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনে ওই হামলা চালানো হয়।

‘কামিকাজে ড্রোন’ নিজেই ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে কাজ করে। তাই এগুলোকে আত্মঘাতী ড্রোন বলা হয়। উড্ডয়ন শুরুর সময় এদের ডানাগুলি ব্লেডের মতো বেরিয়ে আসে বলে এগুলিকে ‘সুইচব্লেড ড্রোন’-ও বলা হয়। এই ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম।


নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রায় ৪০ জন খনিতে কাজ করা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। জানা যায়, বন্দুকধারীরা মোটরবাইকে করে এসে আকস্মিক হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, গ্রামের লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়েছে এবং বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে।

প্লাতু রাজ্যের ওয়াসে জেলায় গত সোমবার রাতের দিকে ওই হামলা চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পদ নিয়ে বিরোধ এবং আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে ওই অঞ্চলে অস্থিরতা চলছে।

রাজ্যের তথ্য কমিশনার মুসা ইব্রাহিম আশোমস টেলিফোনে এএফপিকে জানান, সশস্ত্র ব্যক্তিরা জুরাক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা গ্রামবাসীর ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে এবং বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি ৪০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জুরাক একটি জনপ্রিয় খনি সম্প্রদায়। স্থানীয় যুব নেতা শাফি সাম্বোও নিশ্চিত করেছেন যে, সেখানে হামলার ঘটনায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।

জিঙ্ক এবং সীসায় সমৃদ্ধ ওয়েসে জেলা। এ ছাড়া প্লাতু রাজ্য টিনের খনি শিল্পের জন্য বেশ পরিচিত। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই যাযাবর পশুপালক এবং মেষপালকদের মধ্যে বিরোধের কারণে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চারণভূমিতে পানির প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য সম্পদ যেমন রাজ্যের ধাতব মজুত নিয়ে দুপক্ষের বিরোধের কারণে উত্তেজনা বাড়ছে।

উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভারী সশস্ত্র অপরাধী চক্রগুলোও সক্রিয় রয়েছে। তারা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এবং লুটপাট করতে প্রায়ই বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে থাকে।

বিষয়:

দুই সপ্তাহে গাজায় ৯ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজা অভিমুখে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ঢল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় বিগত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ফের বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৯ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য ও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

চলতি মাসের শুরুতে রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সময় তারা রাফায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। মূলত রাফায় চলমান ভয়াবহ যুদ্ধের কারণে প্রাণ বাঁচাতে শহরটির বাসিন্দা এবং আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া গাজার অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘ সোমবার জানিয়েছে, গত ৬ মে থেকে শুরু করে গত ১৮ মে পর্যন্ত ১৩ দিনে রাফা থেকে প্রায় ৮ লাখ ১২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে গাজায় এই সময়ের মধ্যে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি মনে করেন-গাজায় কোনো ধরনের গণহত্যা চলছে না। এর মধ্য দিয়ে তিনি মূলত ইসরায়েলের নির্বিচার আগ্রাসনের পক্ষেই কথা বললেন। গতকাল সোমবার তিনি হোয়াইট হাউসে ইহুদির একটি উৎসবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।

বাইডেন বলেন, ‘আমাকে স্পষ্ট করে বলতে দিন- আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপরীতে আমি বলতে চাই, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এটি (এই অভিযোগ) প্রত্যাখ্যান করি।’

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে দিন, আমরা ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আইসিসিতে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করছি।’


রাইসির মৃত্যুতে অস্থির হতে পারে ইরানের রাজনীতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত হওয়ার পর দেশটির শাসনব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ রদবদলের আভাস পাওয়া গেছে গতকালই। তবে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয় বলে সরকারে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে হবে না ইরানের নাগরিকদের।

আলোচনাটা সর্বোচ্চ নেতার পদটি নিয়েই। ৮৫ বছর বয়সি আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে রাইসিকেই দেখা হচ্ছিল। তবে তার মৃত্যুতে দেশ পরিচালনার গুরুভার কার ওপর বর্তাবে, তা নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে মাথাব্যথা।

রাইসির মৃত্যুর পর খামেনির ছেলেই পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তটি সঠিক হবে কি না তা নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্যও আছে। কারণ, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের দেশটিতে খামেনির ক্ষমতার বংশগত উত্তরাধিকার তৈরি হলে তা সংকট আরও বাড়াতে পারে। রাজতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও দেশটির নাগরিকদের একটি অংশ এই শাসনব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসন হিসেবে দেখেন।

ইরানের শাসনব্যবস্থা যেভাবে কাজ করে

রাষ্ট্রপতি ও সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য ইরানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দেশের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে মত দিয়ে থাকেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনিই সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে কাজ করেন এবং শক্তিশালী বিপ্লবী গার্ডকে (আইআরজিসি) নিয়ন্ত্রণ করেন।

১২ সদস্যবিশিষ্ট গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অর্ধেক সদস্যও তার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দেশটির রাষ্ট্রপতি, সংসদ সদস্য, এমনকি সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ পরিষদের প্রার্থীদেরও যাচাই করে এই গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

তাত্ত্বিকভাবে, বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যরা (ধর্মগুরু) দেশে ইসলামি আইন বজায় রাখতে সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করে থাকেন। তবে সর্বোচ্চ নেতা পদ্ধতির বিরোধীরা বলে থাকেন, তিনি (সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা) নিজ স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখা ও তার নিজস্ব অগ্রাধিকারগুলোকে এগিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চান না। এ কারণে সব ধরনের বিরোধিতার পথ বন্ধ করে দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করেন।

সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছিলেন কট্টরপন্থি এবং খামেনির সমর্থক। ২০২১ সালের নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের কার্যত নিষ্ক্রিয় করে রাইসিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে বিশেষজ্ঞ পরিষদ। নির্বাচনে রুহানিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও বাধা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ৮ বছর ধরে প্রেসিডেন্টের পদ সামলানো হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হন রাইসি। ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে সেবারের নির্বাচনে।

রাইসির মৃত্যুর পর সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার নির্দেশে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ইরানের সংবিধান অনুসারে ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে কাকে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আনা হবে, সে কাজটি নিয়ে গভীরভাবে ভাববেন খামেনি, সাবধানতার সঙ্গে বেছে নেবেন অনুগত রাষ্ট্রপ্রধান। এর অর্থ এই দাঁড়াচ্ছে যে, দেশটিতে কড়া ইসলামি শাসন আরোপ চলতে থাকবে এবং ভিন্নমতকে আগের মতোই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক সংবিধানে সেই চর্চার সুযোগও কম, কারণ এটি ইউরোপীয় গণতন্ত্র নয়। এ ছাড়া দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন ও পশ্চিমাদের গভীর সন্দেহের চোখে দেখা চলমান থাকবে।

ক্ষমতার উত্তরাধিকারের বিষয়ে যা হবে

ইরানের ক্ষমতায় রাষ্ট্রপতি আসবেন, যাবেন। কেউ কেউ কট্টরপন্থি, কেউবা মধ্যপন্থি হতে পারেন, তবে প্রত্যেককেই শাসনব্যবস্থার প্রতি অনুগত হয়ে কাজ করতে হয়। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হন রুহুল্লাহ খামেনি। তার মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে এই পদে আসীন হন এর আগে টানা ১০ বছর দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা সৈয়দ আলী হোসাইনি খামেনি। টানা ৩৫ বছর ধরে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার মর্যাদায় আসীন এই নেতার উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে। কিন্তু তিনি আগেই চলে যাওয়ায় খামেনির এখন দুটো বড় চ্যালেঞ্জ সামনে। ইরানের জন্য একজন নতুন অনুগত প্রেসিডেন্ট ঠিক করা এবং তার নিজের উত্তরসূরি নির্বাচন করা। আলী খামেনির বয়স এখন ৮৪ বছর। তার মৃত্যুর পরই কেবল ইরানে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে।

৮৮ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে গড়া পরিষদের মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করা হয়। ওই পরিষদের সদস্যরা আবার ১২ সদস্যের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মাধ্যমে ৮ বছর পর পর নির্বাচিত হন।

খামেনির উত্তরাধিকারী কে হবেন- এ বিষয়ক আলোচনা বা যে কোনো কৌশল সাধারণ জনগণের অগোচরে হয়ে থাকে। ফলে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী কে হতে চলেছেন, সাধারণের পক্ষে তা আগে থেকে জানা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

তবে বিশ্লেষকরা যে ২ ব্যক্তিকে খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে দেখছিলেন, তাদের একজন রাইসি, অন্যজন খামেনির ছেলে মোজতবা। ৫৫ বছর বয়সি মোজতবা একজন শিয়া ধর্মগুরু। তবে সরকারি দায়িত্ব পালনের কোনো অভিজ্ঞতা তার নেই।

মোজতবা ইরানের সর্বোচ্চ পদে বসলে যা হতে পারে

বিপ্লবের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর দেশটির নেতারা ইরানকে শুধু পশ্চিমা ক্ষয়িষ্ণু গণতন্ত্রের চেয়ে নয়, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিরাজমান সামরিক একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র থেকেও অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তবে খামেনির ছেলে সর্বোচ্চ নেতার আসনে বসলে ফের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে ইরানে। শুধু ইসলামি শাসনের সমালোচকদের কাছেই নয়, দেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা যেসব ইরানি ‘অনৈসলামিক’ বলে বিবেচনা করে, তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার করতে পারে ক্ষমতার এই উত্তরাধিকার।

পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে ইরানের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আর ইসলামি শাসন যা রাইসির আমলে আরও তীব্র আকার ধারণ করে, দেশের নারী ও যুবাদের আরও বিচ্ছিন্ন করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে ইরান। ২০২২ সালে মাহসা আমিনি গ্রেপ্তারের পর দেশটি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠা এর বড় উদাহরণ। চুল না ঢেকে রাস্তায় বের হওয়ার কারণে আমিনি গ্রেপ্তার হন। এর বিরুদ্ধে ইরানজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ওই বিক্ষোভ থেকে দেশজুড়ে ৫ শতাধিক মানুষ নিহত ও ২২ হাজারের বেশি নাগরিক আটক হন।

রাইসির মৃত্যুতে তাই নতুন সর্বোচ্চ নেতা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি আরও জটিল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশটিতে ফের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। (ইরনাসহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অবলম্বনে)

বিষয়:

আকাশে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিমান, একজনের মৃত্যু

প্রতিকূল পরিস্থিতির কবলে পড়া সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আকাশে প্রতিকূল পরিস্থিতির কবলে পড়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী। উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল। পথ পাল্টে সেটিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করানো হয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উড়োজাহাজটি ব্যাংককে অবতরণ করে। সেটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের।

এক বিবৃতিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস জানিয়েছে, এসকিউ-৩২১ নামে তাদের ওই ফ্লাইটে ২১১ জন যাত্রী ও ১৮ জন ক্রু সদস্য ছিলেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ঘটনায় যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায় তারা। এ ছাড়া আহত যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য ব্যাংককে একটি দল পাঠিয়েছে তারা।’

আকাশে বৈরী আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে উড়োজাহাজের প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়াটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এতে উড়োজাহাজে সামান্য ঝাঁকুনি দেখা দিতে পারে। তবে আজ যে মারাত্মক পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল, তা বিরল বলাই চলে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।


ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে না: বাইডেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে গ্রেপ্তারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে না। এমনকি, হামাস ও ইসরায়েল সমতুল্য নয়।’

সম্প্রতি আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান বলেছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে রক্ষায় মুখ খুলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, আমরা ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার চেয়ে আইসিসিতে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছি।’ গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ইহুদি আমেরিকানদের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাইডেন আরও বলেন, ‘ইসরায়েল ও হামাস সমতুল্য নয়।’ এর কয়েক ঘণ্টা আগে কড়া ভাষার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আইসিসিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন ‘আপত্তিকর’।

একইদিনে করিম খান ঘোষণা করেছিলেন, তিনি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের পাশাপাশি হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসেজে) গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

‘ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে না’ উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসেজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিপরীতে, গাজায় আসলে যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।’

জানুয়ারিতে আইসিজে এক রায়ে বলেছিল, গাজায় গণহত্যার একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। তাই ইসরায়েলকে যেকোনো গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে একাধিক অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো।

সোমবার হোয়াইট হাউসের ওই অনুষ্ঠানে বাইডেন যখন ইসরায়েলকে রক্ষায় বক্তব্য দিয়ে মুহুর্মুহু করতালি পাচ্ছিলেন, তখন তার নির্বাচনি প্রচার শিবির যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে বিপর্যস্ত। যুদ্ধবিরোধী কেউ কেউ আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘জেনোসাইড (গণহত্যা) জো’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।

বিষয়:

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২৮ই জুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির মৃত্যুর পর দেশটিতে এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই রইসির মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের চতুর্দশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটি। আগামী ২৮ই জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল সোমবার দেশটির বিচার বিভাগ, আইনসভা এবং নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনুদোলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে চলতি মাসের ৩০ মে এবং প্রচারণা চলবে আগামী ১২ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত।

গত রোববার একটি জলাধার উদ্বোধন শেষে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে যাওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল-২১২ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি।

১৫ বছর বয়সে যে মাশহাদ ছেড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি সেই মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি। তার আগে আগামীকাল বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে তাকে চির বিদায় জানাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান। বর্তমানে রাইসির মরদেহ তাবরিজ শহরে রয়েছে। আজ তাবরিজে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই শহরে তিনি রোববারই ভ্রমণ করেছিলেন।

বিষয়:

৫ম দফায় ভারতজুড়ে শান্তিপূর্ণ ভোট, পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ, চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ছয় রাজ্য এবং দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে এক যোগে চলেছে ভোট গ্রহণ। ভারতজুড়ে শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হলেও পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা খবর মিলেছে।

৪৯টি আসনের মধ্যে বিহারের ৫টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি, মহারাষ্ট্রের ১৩টি, উড়িষ্যার ৫টি, উত্তর প্রদেশের ১৪টি, পশ্চিমবঙ্গের ৭টি এবং জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখের ১টি করে লোকসভা আসন রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশার ৩৫টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে।

পঞ্চম দফায় ৬৯৫ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এ দফায় হেভিওয়েট প্রার্থী রাহুল গান্ধী, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, পীযূষ গয়াল, ওমর আবদুল্লাহ ও চিরাগ পাসওয়ান। উত্তর প্রদেশের আমেঠি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে এবারও প্রার্থী করেছে বিজেপি। সোমবার সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তিনি। অমেঠী লোকসভার অন্তর্গত গৌরীগঞ্জ গ্রামে ভোটও দেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুলকে হারিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি।

এদিকে, রাহুল গান্ধী এবার প্রার্থী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে। রায়বরেলীর ভোটার না হলেও ভোটের দিন নিজের কেন্দ্রেই রয়েছেন তিনি। ভোটের দিন তিনি পূজা দেন হনুমান মন্দিরে।

ভারতে মোট সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোট হবে। ১ জুন সপ্তম দফার ভোটের পর ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন।

এ দফায় পশ্চিমবঙ্গে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, উলুবেরিয়া ও আরামবাগ- এই ৭টি আসনে ভোট হয়েছে। দুপুর ৩টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৬২ দশমিক ৭২ শতাংশ। এদিন সকালে ভোটগ্ৰহণ শুরু হয় শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাত আসনেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে ব্যারাকপুর, হুগলি ও হাওড়াতে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও দিতে থাকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে প্রায় এক হাজারটি অভিযোগ জমা পড়েছে।

জানা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাওড়ার লিলুয়ার বজরঙবলী মার্কেটের কাছে বুথের বাইরে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুথ থেকে পালিয়ে যান ভোটাররা। ব্যারাকপুর আসনের আমডাঙায় বিজেপির এক কর্মীর বাড়ি ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে। বুথ জ্যাম, জাল ভোট, বিজেপির এজেন্টদের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এছাড়া বিজেপি নেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কোস্তভ বাগচির গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
ব্যারাকপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ও কালো পতাকাও দেখানো হয়। হাওড়ায় বিজেপি এজেন্টদের কেন্দ্রে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাছাড়া এই আসনের একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে আইএসএফ কর্মীদের মারধর ও ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চান আইসিসি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান সিএনএনকে জানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তিনি হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

খান সিএনএনকে বলেন, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, আল কাসেম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধে ‘নির্মূল, হত্যা, জিম্মি, ধর্ষণ এবং আটক অবস্থায় যৌন নিপীড়ন’-এর অভিযোগ রয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ‘মানবিক ত্রাণ সরবরাহ অস্বীকার করা, ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘাতে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করাসহ যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে নির্মূল করা, অনাহার সৃষ্টি করা।’

আইসিসির প্রসিকিউটরের এ ঘোষণায় ইসরায়েলে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইসরায়েলের যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বেনি গান্টজ এক এক্সবার্তায় লিখেছেন, যে দেশ তার নাগরিকদের রক্ষার জন্য যুদ্ধে নেমেছে, সেই দেশের নেতাদের রক্তপিপাসু সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একই কাতারে দাঁড় করানো নৈতিক অন্ধত্ব।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটরের এমন ঘোষণাকে ‘বিপর্যয়’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ।

এদিকে প্রধান প্রসিকিউটরের আবেদন বিবেচনায় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আইসিসির। অর্থাৎ শিগগিরই নেতানিয়াহু, ইয়োয়াভ গ্যালান্ট, ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি, ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।


ইরানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি

আলী বাগেরি কানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পর উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানিকে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ইরানের সরকারি মন্ত্রিসভা কানিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগে অনুমোদন দেয়। ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী বাহাদোরি জাহরোমি সোমবার এই ঘোষণা দেন।

দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে, ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।

সোমবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাগেরি বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনের পর ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান, সংসদের স্পিকার এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল আগামী ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেবে।’

এর আগে, গতকাল রোববার প্রতিবেশি আজারবাইজানের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত কিজ কালাসি বাঁধের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা।

পরে সেখান থেকে ইরানের তাবরিজ শহরে আরেকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় ভারজাকান অঞ্চলের দিজামারের পার্বত্য এলাকায় প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

ইরানের নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছেন তিনি।

বিষয়:

ইরানে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে সে দেশে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

আজ সোমবার ইরানের সরকারি এক বিবৃতি থেকে জানা য়ায়, প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তাদের সফর সঙ্গীদের মৃত্যুতে ইরানের জনগণের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।

খামেনি বলেন, ‘আমি আমার প্রিয় ইরানি জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মৃত্যুতে দেশজুড়ে পাঁচদিনের সরকারি শোক ঘোষণা করছি।’

এর আগে, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরকে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেন আলী খামেনি। এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংবিধানের ১৩১ ধারা অনুসারে মোহাম্মদ মোখবের নির্বাহী বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন।

খামেনি আরও জানান, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করবেন।

এদিকে, উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইরানের মন্ত্রিসভা।

রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে ইরানের প্রেসিডেন্টসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

সোমবার বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি শনাক্ত হওয়ার পর তাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি। ৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

বিষয়:

ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের

(বাঁ দিকে) ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে গতকাল রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ানসহ সব আরোহী।

ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আজ সোমবার প্রেসিডেন্টসহ অন্য আরোহীদের মৃত ঘোষণার খবরটি জানানো হয়। এমন বাস্তবতায় ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের দেজফুল শহরে ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন মোখবের। আন্তর্জাতিক আইনের ওপর পিএইডি ডিগ্রি আছে তার।

এর আগে আল জাজিরা জানায়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে ইরানের উদ্ধারকারীদের তৎপরতাদের মধ্যে অনেকের নজর ছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের দিকে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের প্রাণহানি কিংবা দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট।


ভারতের লোকসভা নির্বাচন: পঞ্চম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১১:৩১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে পঞ্চম ধাপের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার এই পর্বে পশ্চিমবঙ্গসহ ছয় রাজ্য ও দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৪৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, বনগাঁ ও ব্যারাকপুর- এই ৭ আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে সাতটা থেকে, চলবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৭টি লোকসভা আসনে মোট ১৩ হাজার ৪৮১টি বুথে চলছে ভোট। তার মধ্যে ৭ হাজার ৭১১টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সাত লোকসভা আসনে নারী পরিচালিত বুথের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬০টি।

এই ধাপের ৭টি আসনেও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। যার জেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আরও বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। এই ৭ কেন্দ্রে সবমিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৬২ কোম্পানি আধা সামরিক সশস্ত্র সেনাবাহিনী। যার মধ্যে ভোটকেন্দ্রের পাহারায় রয়েছেন ৬১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে রাখা আছে। কোথাও কোনো অশান্তি হলেই মাঠে নামবে বাকি বাহিনী।

বুথের বাইরে রাখা হয়েছে আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার ৫৯০ জন সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ভোট কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই। তারা বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে থেকে আইনশৃঙ্খলা সামাল দেবে। বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি পঞ্চম ধাপেও প্রতিটি বুথে রয়েছে ওয়েভ কাস্টিং ব্যবস্থা। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কর্তারা, অফিসে বসেই বুথের পরিস্থিতির ওপর লক্ষ্য রাখতে পারবে।

এর আগে ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার ধাপের ভোটে মোট ৩৭৯টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ ধাপ অবদি বিক্ষিপ্ত দু-একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন হয়েছে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপ ভোট হবে আগামী ২৫ মে। সপ্তম অর্থাৎ শেষ ধাপের ভোট হবে ১ জুন। একযোগে ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।

বিষয়:

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া আসেনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

বিবিসি বলছে, ‘রোববার উত্তর-পশ্চিম ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে।’

অন্যদিকে আল জাজিরাও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদুল্লাহিয়ান-সহ হেলিকপ্টারে থাকা অন্যরা মারা গেছেন বলে একাধিক ইরানি সংবাদ সংস্থা নিশ্চিত করেছে।

অবশ্য প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং হেলিকপ্টারে থাকা অন্য আরোহীরা মারা গেছেন বলে কিছু ইরানি মিডিয়া রিপোর্ট করলেও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি। যদিও আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ ও সংবাদ সংস্থা তাসনিম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছিল, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।


banner close